টেরাকোটা শিল্পে করোনার থাবা : মাথায় হাত শিল্পীদের

14th June 2021 9:16 am বাঁকুড়া
টেরাকোটা শিল্পে করোনার থাবা :  মাথায় হাত শিল্পীদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  'টেরাকোটার গ্রাম' বলেই পরিচিত তালডাংরার পাঁচমুড়া। অপরুপ সৌন্দর্যমণ্ডিত পোড়ামাটির শিল্পকর্মের জন্যই সারা বিশ্বেই পরিচিত নাম পাঁচমুড়া। এখানকার কুমোরপাড়ার শিল্পীরা সুনিপুন দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলেন তাদের অপরুপ শিল্পকর্ম।

 এবার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের পাশে দাঁড়ালো কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকও। ঐ মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে এখানকার বাছাই করা পাঁচ জন শিল্পীকে নিয়ে দশ দিনের 'অনলাইন কর্মশালা' শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত। এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিল্পীরা নিজেদের শিল্পকৃতি তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন।চলতি করোনা আবহে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত। ফলে উৎপাদিত শিল্প সামগ্রী বিক্রি না হওয়ায় চরম আর্থিক সমস্যায় এখানকার মৃৎশিল্পীরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই এখানকার মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষ জানিয়েছেন। অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেওয়া মৃৎশিল্পী ভূতনাথ কর্মকার, উর্মিলা কর্মকাররা বলেন, করোনা আবহে বাইরে যাওয়া আসা বন্ধ। শিল্পরসিক পর্যটকদের দেখা নেই। ফলে বিক্রিবাটা বন্ধ। চরম আর্থিক সমস্যায় তারা এই অবস্থায় এই প্রথমবার আমরা পাঁচ জন সুযোগ পেয়েছি। তবে আরো বেশী সংখ্যায় শিল্পীরা এই কর্মশালায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পেলে ভালো হতো। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দশ দিনের এই কর্মশালায় উৎপাদিত দ্রব্য আয়োজকরা কিনে নেবেন। একই সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের বিশেষ 'সাম্মানিক' দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।